Exclusive

An Exclusive interview
“They are coaltern and yes they can speak”

চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের দার্ঢ্য সাক্ষাৎকার।

মালবিকা চক্রবর্তী

তাঁর জীবনী শক্তি আর সত্তর বছরের পথ চলার অদম্য আবেগ, গ্রাম বাংলা ঘুরে নারীর কন্ঠে প্রচলিত গানের সংগ্রহ যা বাংলা গানের অন্যতম সম্পদ; সেই সম্পদের সংগ্রাহক চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের কাজকে, তাঁর শ্রমদানকে শ্রদ্ধা জানাই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় যাঁকে চিনেছি "আমি তোমাদেরই লোক আর কিছু নয়, এই হোক শেষ পরিচয়”। এই পথে হেঁটে চলা চন্দ্রাদির সাক্ষাৎকার যেন এক ঐতিহাসিক দলিল। নিজের তরীখানা গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ঘাটে, বিভিন্নতার ভাষার-মাঝে কোথাও থৈ হারা হয়নি। অনর্গল উপভাষার বিভিন্নতাকে রক্ষা করে উচ্চারণ করে চলেছেন চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়।

প্রাথমিক পরিচয় পর্বের মতো করেই জানতে চেয়েছিলাম জন্ম সাল, প্রথম শিক্ষাক্ষেত্র হিসেবে পারিবারিক অবদান, এসব।

পর্ব ১:

চন্দ্রাদি - আমার জন্ম ১৯৫৫ সাল। আমরা তিন প্রজন্ম ধরে এ কলকাতাতেই আছি। নানা কারণে আমার অদ্ভুত পরিবারের থেকে স্নেহ ভালোবাসার পাশাপাশি পেয়েছি অভাব-অসুস্থতা অশান্তি। বুঝেছিলাম সংসারটা খুব একটা ভালো জায়গা নয়। মনটাকে আমার অন্যদিকে নিয়ে যেতে হবে।

(মালবিকা)আমি- মনটাকে যে অন্যদিকে নিয়ে যেতে হবে এ জাতীয় মনঃশিক্ষা কীভাবে এলো?

চন্দ্রাদি- আমার স্কুল। আমার দিদির জন্য পিসিমার সঙ্গে ফর্ম তুলতে গিয়েছিলাম নিবেদিতা স্কুলে । সে সময় আমারও ফর্ম তোলা হল। আমার মানসিক গঠন গড়ে ওঠার প্রধান ক্ষেত্র নিবেদিতা স্কুল । সকালের প্রার্থনায় উচ্চারণ করতাম – “ওঁ মধুবাতা ঋতায়তে । মধুক্ষরন্তি সিন্ধবঃ।” অথবা “মোরা বিঘ্ন-বাধা-ভরা পথ দলি, আলোতীর্থ লাগি দূর পানে চলি।” দূরের দিকে দৃষ্টিমেলে দেখার শিক্ষা এই স্তব স্তোত্র থেকেই। এছাড়াও আরেকজনের কথা না বললেই নয়। তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ।

...

আমি- আমি মনে মনে তাঁর কথাই ভাবছিলাম। সুদূরের প্রতি চোখ মেলে দেখার শিক্ষা আমার নিজের জীবনে তাঁর কাছে প্রাপ্তি। তাহলে এভাবেই তোমার মানসিক ভাবনা চিন্তার স্বাধীনতা গড়ে ওঠে ।

চন্দ্রাদি- শুধু দূর নয়, “ছাত্রদের প্রতি সম্ভাষণ”-এ কবি বলেছেন যে, আমরা নৃতত্ত্ব পড়েও বাড়ির কাছের জনজাতির দিকে তাকাই না। ভারতবর্ষকে মাতৃভূমি বলছি। অথচ এঁদো পুকুরের ধারে ম্যালেরিয়া রোগাক্রান্ত শিশুটিকে নিয়ে যে মা বসে আছেন তাঁর দিকে দেখছি না। অতএব গ্রামীন সংস্কৃতির দিকে কেউ যদি প্ররোচিত করে থাকেন, তিনি রবীন্দ্রনাথ।

আমি- তাঁকে স্পর্শ না করে আমাদের যেন কোথাও যাওয়ার থাকে না। এবার বলো, তোমার জীবনে তুমি কবে সুরের প্রতি টান অনুভব করলে?

চন্দ্রাদি- আমার বাড়িতে আরশোলা ভরা বাক্সে হারমোনিয়াম আর ছেঁড়া তারের সেতার চন্দন দিয়ে পুজো করা হতো। এছাড়া তেমন কোনো চর্চা ছিল না।উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর নিজের উদ্যোগে মার্গসঙ্গীত শেখা শুরু বিষ্ণুপুর ঘরানার নীহাররঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

আমি- আমার মনে পড়ে তোমার মঞ্চ উপস্থাপনা দেখে, প্রয়াত প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কথা। তোমরা দুজনেই নিরলঙ্কার বাদ্যযন্ত্র বিহীন উপস্থাপনায় গানকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ। আর আমরা স্তম্ভিত হয়ে শুনছি।

চন্দ্রাদি- উনি নমস্য। যাইহোক। পাশাপাশি ভর্তি হলাম, সুচিত্রা মিত্রের স্কুল “রবিতীর্থতে” এদিকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের পড়া চলতে থাকল।এরকম একটি সময়ে লাইব্রেরি থেকে পড়া শুরু করলাম দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের 'লোকায়ত দর্শন';এই বই আমার জীবনকে অন্য বাঁকে ঠেলে দিল। সেখানে জানলাম উপনিষদেরও আগের যুগে মানুষ অন্নের জন্য গান গাইত। সেই সব প্রার্থনাই পরবর্তীকালে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "অন্ন বাক্য অন্ন প্রাণ' অনুবাদে পড়েছি। এছাড়াও ট্র্যাজেডি নাটকের সূত্রপাত অথবা প্রাচীন গুহাচিত্রে শিকারের ছবি দেখে বুঝি, এসবই আমাদের অন্ন আহরণ বা খাদ্য সন্ধানের তাগিদে সৃষ্ট। আর সেসব তারা অভিনয়ও করছেন। ক্ষুধা এসব শিল্পের গোড়ার কথা।

আমি- এই ক্ষুধারই বিভিন্নতায় শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যম নিজেকে প্রকাশ করেছে। নিদারুণ অন্ন সংকটের কালে মধ্যযুগের শেষে - রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের “অন্নদামঙ্গল” থেকে শুরু করে ক্ষুধার্ত প্রজন্মের সাহিত্যচর্চা এখনও নিরন্তর চলেছে নানা শিল্প মাধ্যমে।

চন্দ্রাদি- এ থেকে বুঝি আমাদের এই ভারতবর্ষের মাটিতে বস্তুবাদী দর্শন ছিল। কেবল ভাববাদী দর্শন নয়। এরপর ৭০-এর দশকে নানা গুণীজনের সান্নিধ্য পেয়েছি।

পর্ব ২:

আমি- তাহলে তুমি নকশাল আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী? তোমার অভিজ্ঞতা যদি জানাও।

চন্দ্রাদি - আমি তো তখন স্কুলে। সদ্য পেরোনো ৭০-এর আগের আন্দোলন। এই মুভমেন্ট আমাদের জানাতে চেয়েছে, প্রভাবিত করেছে, দেশকে চেনা, মানুষকে চেনার জায়গা থেকে । এবারে তোমাকে সেই ৭০-৭৫ এর গুণীজনের কথা বলি। আমরা প্রথম যাই বিজন ভট্টাচার্যর কাছে। নাটকের গান পেতাম তাঁর কাছে। এমনকি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটকের গানও শুনেছি। আমাদের ভাবনাটা বাংলা গানের অনুসন্ধানে ঘুরে ফিরে এগিয়ে চলত। এখন বুঝতে পারি কেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়, কেন সুমনের গান আমাদের বাংলা গানে অবশ্যম্ভাবী ছিল। বিজনবাবু বলেছিলেন, "আমার কাছে দেশের কিছু বাংলা গান থাকলেও এ বিষয়টি প্রধানত চর্চা করেন খালেদ চৌধুরী"। যিনি কেবল মঞ্চশিল্পী বা প্রচ্ছদ শিল্পী নন। তাঁর সঙ্গীত জীবন আমাদের অনেকের কাছেই অজ্ঞাত। IPTA-তে গান গাইতেন। Western Classical শিখেছিলেন, ভালো বেহালা বাজাতে পারতেন। তখন আমরা খালেদদার কাছে গেলাম।

পর্ব ৩:

আমি- 'আমরা' বলছ চন্দ্রাদি, তোমরা বলতে কারা ছিলে?

চন্দ্রাদি- না (একটু হেসে) তখন আমি আর সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। খালেদদার কাছে যেতে শুরু করি। সন্দীপ পরবর্তীকালে আমার জীবন সঙ্গী হন। দুজনেই স্থির করেছিলাম গ্রামকে চিনব। আমার ছিল গান চর্চা। ওঁর ছিল শিল্প সাহিত্যের অন্য দিক চর্চার বিষয়া। উনি পরে বেরিয়ে পড়লেন গ্রাম বাংলার ইতিহাস খোঁজার তাগিদে। সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মুদ্রিত বইটির নাম “গ্রাম বাংলার গড়ন ও ইতিহাস’’। অনুষ্টুপ থেকে যা প্রকাশিত ।

আমি - আমার কেবলই মনে হচ্ছে কমিউনিস্টরা যে স্বপ্ন দেখার কথা বলেন, সেরকম স্বপ্নের সাহসেই কি আপনারা ভর করেছিলেন? গ্রাম জীবনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, তাকে চেনা। না চিনলে দেশকে জানা হয় না। মতাদর্শগত ভাবে বামপন্থার সমর্থন পাচ্ছি। প্রভাব পাচ্ছি।

চন্দ্রাদি- প্রভাব পড়তে বাধ্য। আমরা যারা পঞ্চাশের দশকে জন্মেছি বা ষাটের দশকে, কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হতে দেখেছি। জন সমাবেশের দিনে আমাদের বাড়ি থেকেও রুটি যেত। LIC-তে চাকুরীরত বাবার জীবনে অটোমেশন বিরোধী আন্দোলন দেখেছি। As a Novice মার্কস এ বিশ্বাসী হই, যারা Workers of the Universe Unite – এর কথা বলেছিলেন, তারা গ্রামের মানুষ, শ্রমিক মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেন, যা আমাকে বীতশ্রদ্ধ করেছে।

আমি- সম্ভবত: 'আমার লেনিন' সিনেমাতে ঋত্বিক ঘটক সে কথাই বলেছিলেন।

চন্দ্রাদি- অথচ এত রক্তক্ষয় হলো। আজ এই কাজটা তো আমার একার করার কথা নয়। খালেদদার কাছেই জানলাম আমাদের গণসঙ্গীতটা ঠিক হয় নি, ওটা পটলের দোরমা হয়েছে। সুর নিচ্ছি গ্রাম বাংলার। এদিকে দূরত্ব ঘোচাই নি। কেন গাইবেন তাঁরা ‘হেই সামালো?’

আমি- এই দূরত্ব ঘোচানোর কাজটি তুমি যথেষ্ট পরিশ্রমে অর্জন করেছ।

চন্দ্রাদি - তাই আমি তাঁদের subaltern বলি না। “They are coaltern, And yes they can speak’’.

আমি- Subaltern এর অন্য তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাও আছে।

চন্দ্রাদি- আছে। কিন্তু কৃষক-মজুরদের আমি Sub বলতে পারি না। আমি কে, তাঁদের Sub বলার?

আমি – প্রচলিত পার্টির ধাক্কা খেয়ে স্যার শুভেন্দু মাইতিও সমাজের নীচু স্তরে চলে গিয়ে সে মানুষের কাছেই জীবনের অনেকটা বছর থেকে গেলেন। আপনার কি সাক্ষাৎ হয়েছিল সে আমলে?

চন্দ্রাদি- না। সম্প্রতি আলাপ হয়েছে। আমাকে শুভেন্দুদা স্নেহ করেন, আশীর্বাদ করেন আমার কাজকে সমর্থন করেন।

আমি- খালেদ চৌধুরীর পরে কার কাছে শেখা শুরু হল?

চন্দ্রাদি- খালেদদা আমাকে পাঠালেন মৃণাল বড়ুয়ার কাছে। তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। লুম্বিনির ডিরেক্টর ছিলেন। রবিবারে ছিল তাঁর অবারিত দ্বার। আসাম গোয়ালপাড়ার গৌরীপুরের এই মানুষটি রবিবার দোতারা নিয়ে বসে গান শেখাতেন যেকোন আগ্রহীকেই।

তার আগে একটু বলি ষাটের দশকের মাঝামাঝি লোকগান সংগ্রহের জন্য একটি ইনস্টিটিউট খুলেছিলেন খালেদ চৌধুরী - হেমাঙ্গ বিশ্বাস- নীহার বড়ুয়া এবং অন্যান্যরা। এখানে লোকগান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হতো।প্রমথেশ বড়ুয়ার পরের বোন ছিলেন নীহার বড়ুয়া। নীহারদির সন্তান ছিলেন মৃণালদা। তাঁর কাছে মুসলিম মেয়েদের বিয়ের গীত আছে শুনে অবাক হয়েছিলাম। আমি জানতে চাইছিলাম, মুসলিম ধর্মীয় ঘেরাটোপে কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছিল? মৃণালদা তাঁর মা অর্থাৎ নীহারদির কাছে যেতে বলেছিলেন। নীহারদির কাছে জানলাম, শুধু মুসলিম মেয়েরা নন, হিন্দুদের মধ্যেও বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, যেমন রাজবংশি, মাছুয়ারা, সবার মধ্যে গান আছে। যাকে বলে “বেটিছাওয়ালি গান”।

আমি- লোকজীবনের গান, সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ নির্ভর হতে হয়েছে সংগ্রাহককে। অথচ আমাদের 'পাঁচালী’ র রচয়িত্রী প্রথম মেয়েরাই। সে জায়গায় তোমার একরোখা হয়ে, একেবারে নারী শ্রমের গান, নারী জীবনচর্যার গান সংগ্রহে লক্ষ্য স্থির রাখা আশ্চর্য করে। কখনও এসব ক্ষেত্রে পুরুষের বিপরীত হস্তক্ষেপ দেখেছ? গ্রাম বাংলার কাজ করতে গিয়ে?

চন্দ্রাদি- একদম না। বরং বলতে পারি দাদারা -ভাইয়েরা ভীষণ সাহায্য করেছেন। ওনাদের সাহায্য ছাড়া পৌঁছতে পারতাম না। বরং বলতে পারি নীহারদির ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছিল, কারণ তাঁরা ছিলেন জমিদার ;সেই পারিবারিক আভিজাত্যের কারণে কিছু অসুবিধা হয়েছিল। নিম্নবর্ণের মানুষের গান সংগ্রহ করাকে ভালো চোখে দেখা হত না। নীহারদির বাবা ছিলেন জমিদার প্রভাতচন্দ্র বড়ুয়া, তাঁর তবলা শেখার বই আছে এবং তিনি ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ। আজ যে আমরা ভাওয়াইয়া গান শুনছি,এর জন্য নীহারদির অবদান অনেকটাই। জমিদার বাড়ির সভাঘরে নীহারদি ডেকে আনলেন করিতুল্লা শেখ আর বয়ান শেখকে। যাঁরা ছিলেন ভাওয়াইয়া গানের মানুষ। সেই প্রথম প্রভাতচন্দ্র বড়ুয়া উৎসাহী হলেন, উৎসাহ দিলেন এ গানের চর্চার প্রতি । বাড়ির পরিচারক পরিচারিকাদের শিক্ষকতায় শুরু হল স্কুল, যাতে বাচ্চারা এ গান শিখতে পায়। এমনকি প্রতিমা বড়ুয়া পান্ডে, যাঁর এত নাম ডাক, তিনি আমিনা নামে একটি মেয়ের কাছে গৌরীপুরের নাচ গান শেখা শুরু করলেন ৩/৪ বছর বয়সে।

আমি- একটা ধর্মীয় সংমিশ্রণ ঘটে চলেছে, বর্ণ বৈষম্যের সীমারেখা উঠে যাচ্ছে এ গানের চর্চায়। আশ্চর্য এক স্বপ্ন যেন।

চন্দ্রাদি- ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের পর থেকে যে রাসসুন্দরী, কৈলাসবাসিনীর ছেপে বেরোনো লেখা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে অবরোধবাসিনী মেয়েদের এক রকম কষ্ট সহ্যের সময়কে দেখেছি। এই গানের মেয়েদের জীবন চর্যা আলাদা। এঁরা সাহসের সঙ্গে দাপটের সঙ্গে কথা বলেন। কারণ গ্রামের মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে খেটে খেয়েছেন বহু আগে থেকেই।

আমি- সেক্ষেত্রে বলতেই পারি বনেদি পরিবার অথবা নগরবৃত্তের তুলনায় গ্রামের মেয়েরা অনেক বেশি দাপুটে।এমন কথা বেগম রোকেয়ার লেখাতেও পেয়েছি।

চন্দ্রাদি- হ্যাঁ।আসলে গ্রামের মেয়েদের সঙ্গে উৎপাদন প্রক্রিয়ার সরাসরি যোগ আছে।

পর্ব ৪:

আমি- তোমার গানে নারীর ‘শরীর কথা’- বলতে যা বুঝেছি শরীরের প্রস্ফুটিত হওয়া এবং স্বামী নামে মানুষটির দ্বারা অত্যাচার, শারীরিক যন্ত্রণার কথা পাই। তবে পাশাপশি পুরুষ সঙ্গীর বহুত্ব সামাজিক ভাবে কীভাবে দেখেছ?

চন্দ্রাদি- আমার শরীর কথায় শরীর সংক্রান্ত প্রায় ৯০০ বেশি গান আছে। স্বরলিপি লিপিবদ্ধ নেই। 'শরীর কথা' আমার দ্বিতীয় বই।

আমি- তোমার ইউটিউব চ্যানেল গীদালি-তে তো আছে।


© Copyright 2025 WOMAYAA. All rights reserved.